36. আংটি

【1】

আংটি ব্যবহার করা

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতিপয় অনারব বাদশাদের নিকট চিঠি প্রেরণ করতে চাইলে তাঁকে বলা হলো যে, তারা তো সীলমোহরবিহীন কোন চিঠি পড়ে না। সুতরাং তিনি রূপা দিয়ে একটি আংটি বানান, এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অঙ্কিত করান। আনাস (রাঃ) আনাস (রাঃ) সূত্রে ঈসা ইবনু ইউনুসের বর্ণিত উপরের হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। এতে আরো রয়েছে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রূপার আংটি তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর হাতেই ছিল, অতঃপর সেটি আবূ বকর (রাঃ)-এর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর হাতে, এরপর ‘উমার (রাঃ)-এর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর হাতে ছিল, অতঃপর ‘উসমানের (রাঃ) হাতে এলে একদিন তিনি কূপের নিকট অবস্থানকালে হঠাৎ তাঁর হাত থেকে সেটি কূপে পড়ে যায়। পরে তাঁর নির্দেশে কূপের সমস্ত পানি নিষ্কাশন করা হয় কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি। আনাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি রূপার আংটি ছিল এবং এর পাথর ছিল আবিসিনীয়। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আংটি ও তার পাথর পুরোটাই ছিল রূপার। ইবনু ‘উমার (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি বানিয়েছিলেন স্বর্ণের এবং এর উপরিভাগে ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অঙ্কন করেছিলেন। ফলে লোকেরাও স্বর্ণের আংটি বানালো। তিনি তা দেখে স্বর্ণের আংটি বর্জন করে বললেন আমি এটি আর কখনোই পরবো না। অতঃপর তিনি রূপা দিয়ে একটি আংটি বানালেন এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অঙ্কিত করালেন। তাঁর মৃত্যুর পর আবূ বকর (রাঃ) তা ব্যবহার করেন। তার মৃত্যুর পর ‘উমার (রাঃ) তা ব্যবহার করেন এবং তার পরে ‘উসমান (রাঃ) তা ব্যবহার শুরু করেন। একদিন তার হাত থেকে সেটি ‘আরীস’ নামক কূপে পড়ে যায়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উসমানের (রাঃ) হাত থেকে আংটিটি পড়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লোকেরা তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়নি। ইবনু ‘উমার (রাঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রূপা দিয়ে একটি আংটি বানালেন এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অঙ্কিত করে বলেন কেউ যেন তার আংটিতে এ বাক্য অঙ্কিত না করে। অতঃপর বর্ণনাকারী অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে এ সম্পর্কে বর্ণনা করেন, তারা আংটিটি অনুসন্ধান করে পেলেন না। অতঃপর ‘উসমান (রাঃ) আরেকটি আংটি বানান এবং তাতে ‘মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ’ বাক্য অঙ্কিত করেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি সেটি আংটি হিসেবে ব্যবহার করতেন অথবা সীলমোহর হিসেবে সরকারী কাজে ব্যবহার করতেন। [৪২২০] সানাদ দুর্বল, মাতান মুনকার।

【2】

আংটি ব্যবহার না করা

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে একটি রূপার আংটি দেখতে পেলেন। লোকজনও আংটি বানিয়ে ব্যবহার শুরু করে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, ফলে তারাও তা ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

【3】

স্বর্ণের আংটি সম্পর্কে

‘আবদুর রহমান ইবনু হারমালাহ (রহঃ) ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বলতেন, আল্লাহ্‌র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশটি বিষয় অপছন্দ করতেন (১) পীত রং ব্যবহার, (২) বার্ধক্য পরিবর্তন করা, (৩) পরিধেয় বস্ত্র হেঁচড়ানো, (৪) (পুরুষদের) স্বর্ণের আংটি ব্যবহার, (৫) স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষদের নিকট নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশ করা, (৬) দাবা বা অনুরূপ খেলার গুটি চালনা করা, (৭) ‘মুআব্বিজাত’ অর্থাৎ সূরাহ ‘নাস’ ও ‘ফালাক্ব’ ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা, (৮) তাবীয লটকানো, (৯) লজ্জাস্থানের বাইরে বীর্যপাত করা, (১০) দুধ দানকারিনী স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা, তবে তা হারাম নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস কেবল বাসরাহ্‌র বর্ণনাকারীরা বর্ণনা করেছেন।

【4】

লোহার আংটি সম্পর্কে

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতা একদা এক ব্যক্তি পিতলের আংটি পরিহিত অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলে তিনি তাকে বলেন আমি তোমার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি কেন? একথা শুনে লোকটি আংটি ছুড়ে ফেলে দিলো। অতঃপর সে একটি লোহার আংটি পরে এলে তিনি বলেন আমি তোমার নিকট জাহান্নামীদের অলংকার দেখছি কেন? লোকটি এটিও ছুড়ে ফেলে দিলো। লোকটি বললো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তাহলে কিসের আংটি ব্যবহার করবো? তিনি বলেন রূপার আংটি ব্যবহার করো, তবে তা যেন এক মিস্‌কাল এর অধিক না হয়। ইয়াস ইবনুল হারিস ইবনু মু’আইক্বীব (রহঃ) তার নানা লোহার একটি আংটি রূপা দিয়ে মুড়ানো ছিল। তিনি বলেন, সেটা কখনো আমার নিকট থাকতো। বর্ণনাকারী বলেন, মু’আইক্বীব (রাঃ) ছিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির যিম্মাদার। আবূ বুরদাহ (রহঃ) হতে ‘আলী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন দু’আ করার সময় তুমি বলবে (অর্থ) “হে আল্লাহ্‌! আমাকে হিদায়াত দিন এবং এ পথে দৃঢ় রাখুন, আর হিদায়াতের মাধ্যমে আমাকে স্মরণে রাখুন, সোজা পথে পরিচালিত করুন, তীরের মত সোজা পথে চালিয়ে স্মরণে রাখুন।” তিনি (‘আলী) বলেন, তিনি আমাকে এই আঙ্গুলে বা এই আঙ্গুলে অর্থাৎ শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেন এবং কাস্‌সী ও মীসারা (দু’ প্রকার রেশমী বস্ত্র) পরিধান করতে নিষেধ করেন। আবূ বুরদাহ (রহঃ) বলেন, আমরা ‘আলী (রাঃ)-কে বললাম, কাস্‌সী কি? তিনি বলেন, সিরিয়া অথবা মিসর হতে আমাদের এখানে আমদানীকৃত কাপড়, যাতে কমলা লেবুর মত ডোরাকাটা থাকতো। আর মীসারা হলো স্ত্রীদের দ্বারা তাদের স্বামীদের জন্য উৎপাদিত জিনিস।

【5】

ডান অথবা বাম হাতে আংটি পরা সম্পর্কে

‘আলী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন। ইবনু 'উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাম হাতে আংটি পরতেন, আংটির পাথর তাঁর হাতের তালুর দিকে থাকতো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ইসহাক্ব ও উসামাহ ইবনু যায়িদ (রহঃ) নাফি'র (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ডান হাতের কথা বলেছেন। [৪২২৭] নাফি' (রহঃ) ইবনু 'উমার (রাঃ) তার বাম হাতে আংটি পরতেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব (রহঃ) তিনি বলেন, আমি আস-সাল্ত ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনু নাওফাল ইবনু 'আবদুল মুত্তালিবকে তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটি পরিধান করতে দেখে তাকে প্রশ্ন করলাম, এটা কি? তিনি বলেন, আমি ইবনু 'আব্বাস (রাঃ)-কে এভাবে আংটি পরিধান করতে দেখেছি। তিনি আংটির পাথর হাতের পিঠের দিকে রাখতেন। তিনি বলেন, ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) অবশ্যই উল্লেখ করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর আংটি পরতেন এভাবে।

【6】

নূপুর সম্পর্কে

'আলী ইবনু সাহ্ল ইবনু যুবাইর (রহঃ) একদা তাদের এক মুক্তদাসী যুবাইরের (রাঃ) কন্যাকে নিয়ে 'উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) নিকট এলো। তার (কন্যার) পায়ে নূপুর ছিল। 'উমার (রাঃ) তা কেটে ফেলে দিয়ে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ প্রতিটি ঘন্টাধ্বনির সাথে একটি শয়তান থাকে। [৪২৩০] 'আবদুর রহমান ইবনু হাইয়্যান আল-আনসারীর (রাঃ) মুক্তদাসী বুনানাহ 'আয়িশাহ (রাঃ)-এর সূত্র একদা তিনি 'আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। তখন একটি ছোট বালিকাকে নিয়ে আসা হলো। বালিকার পায়ে নূপুরের আওয়াজ শুনে তিনি বলেন, এর পা থেকে নূপুর না খুলে তাকে আমার কাছে আনবেন না। তিনি আরো বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ঘরে ঘন্টা থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। [৪২৩১]

【7】

সোনা দিয়ে দাঁত বাঁধানো

'আবদুর রহমান ইবনু ত্বারাফাহ (রাঃ) 'কুলাব' যুদ্ধের দিন তার দাদা 'আরফাজাহ ইবনু আস'আদের নাক কেটে গেলে তিনি রূপার নাক বানিয়ে নিলেন। তা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশে তিনি স্বর্ণের নাক তৈরী করে নেন। 'আবদুর রহমান ইবনু ত্বারাফাহ (রহঃ) 'আবদুর রহমান ইবনু ত্বারাফাহ (রহঃ) 'আরফাজাহ ইবনু আস'আদ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। [৪২৩৩] 'আরফাজাহ ইবনু আস'আদ (রহঃ) হতে তার পিতা 'আরফাজাহ ইবনু আস'আদ (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত। [৪২৩৪]

【8】

মহিলাদের স্বর্ণালংকার ব্যবহার সম্পর্কে

'আয়িশাহ (রাঃ) তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট (বাদশা) নাজ্জাশীর পক্ষ হতে কিছু অলংকার উপঢৌকনস্বরূপ এলো। তাতে একটি স্বর্ণের আংটি ছিল, যার উপরিভাগে হাব্শী পাথর খচিত ছিল। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা থেকে মুখ ফিরিয়ে কাঠির সাহায্যে অথবা তাঁর কোন আঙ্গুলের সাহায্যে এটা তুলে ধরেন এবং আবুল 'আস ও যাইনাবের কন্যা উমামাহ্‌কে ডেকে বলেনঃ হে আমার আদুরে ছোট্ট নাত্‌নী! তুমি এ অলংকারটি পরিধান করো। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের বালা পরাতে পছন্দ করে, সে যেন তাকে স্বর্ণের বালা পরতে দেয়। আর যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের মালা পরাতে পছন্দ করে, সে যেন তার গলায় স্বর্ণের মালা পরিয়ে দেয়। আর যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের কাঁকন পরাতে পছন্দ করে, সে যেন তার হাতে স্বর্ণের কাঁকন পরিয়ে দেয়। কিন্তু তোমরা রূপার অলংকার পরতে পারো এবং এর দ্বারা আনন্দ করতে পারো। হুযাইফাহ (রাঃ) এর বোন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে নারী জাতি! তোমরা কি রূপা দিয়ে অলংকার তৈরি করতে পারো না? জেনে রাখো! তোমাদের মধ্যকার যে নারীই প্রদর্শনীর জন্য স্বর্ণালংকার পরবে, তাকে সে কারণে শাস্তি ভোগ করতে হবে। [৪২৩৭] আস্‌মা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে কোন নারী গলায় স্বর্ণের মালা পরবে, ক্বিয়ামাতের দিন তার গলায় আগুনের মালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে। আর যে কোন নারী তার কানে স্বর্ণের দুল পরবে, ক্বিয়ামতের দিন অনুরূপ একটি আগুনের দুল তার কানে লটকিয়ে দেয়া হবে। [৪২৩৮] মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চিতা বাঘের চামড়ার গদিতে বসতে এবং স্বর্ণের জিনিস পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে সামান্য পরিমাণ ব্যবহারে দোষ নেই। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আবূ ক্বিলাবাহ (রহঃ) মু’আবিয়াহ (রহঃ)- এর সাক্ষাৎ পাননি।