27. যবেহ করা

【1】

আকীকা

উম্মু কুরয (রাঃ) তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দু’টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী (আকীকাস্বরূপ যবেহ করা) যথেষ্ট। [৩১৬২] আয়িশাহ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দু’টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী দিয়ে আকীকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিছেন। [৩১৬৩] সালামান বিন আমির (রাঃ) তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে আকীকা করতে হবে অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (পশু যবেহ করো) এবং তার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করো। [৩১৬৪] সামুরাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। [৩১৬৫] ইয়াযীদ বিন আবদ আল-মুযানী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করতে হবে (আকীকা করতে হবে) এবং তার মাথা পশুর রক্তে রঞ্জিত করা যাবে না। [৩১৬৬]

【2】

ফারা‘আ ও ‘আতীরা

নুবায়শাহ (রাঃ) তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ডাক দিয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম। এখন আপনি আমাদের কী হুকুম করেন? তিনি বলেনঃ তোমরা যে কোন মাসে মহামহিম আল্লাহর জন্য পশু যবেহ করো, আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করো এবং (দরিদ্রদের) আহার করাও। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে ফারা‘আ করতাম। এখন এ সম্পর্কে আপনি আমাদের কী বলেন? তিনি বলেনঃ প্রতিটি চরে বেড়ানো পশুতে ফারাআ রয়েছে, তাকে তোমরা ইচ্ছা অনুযায়ী আহার করাও এবং যখন ভারবোঝা বহনের উপযুক্ত হবে তখন তা যবেহ করে তার গোশ্‌ত পথিকদের মধ্যে দান-খয়রাত করলে তা তোমার জন্য কল্যাণকর। [৩১৬৭] আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এখন আর ফারা‘আ নাই, আতীরাও নাই। হিশাম (রাঃ) তার বর্ণনায় বলেন, ফারা‘আ হলো উট বা ছাগল-ভেড়ার প্রথম বাচ্চা। আর আতীরা হলো কোন পরিবারের লোকেরা রজব মাসে যে বকরী যবেহ করে তা। [৩১৬৮] ইবনু উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এখন আর ফারাআও নাই, আতীরাও নাই। ইব্‌ন মাজাহ (রহঃ) বলেন, এটা কেবলমাত্র আল-‘আদানী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস। [৩১৬৯]

【3】

যবেহ করার সময় তোমরা উত্তমরূপে যবেহ করো

শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মহান আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য দয়া ও অনুগ্রহ নির্ধারণ করেছেন। অতএব যখন তোমরা হত্যা (যুদ্ধ) করো, তা উত্তম পন্থায় করো, যখন যবেহ করো, তাও উত্তম পন্থায় করো। তোমাদের প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ চাক ধারালো করে নেয় এবং নিজের যবেহকৃত পশুকে আরাম দেয়। [৩১৭০] আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকটি তখন একটি বকরীর কান ধরে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেনঃ তুমি এর কান ছেড়ে দাও এবং ঘাড় ধরো। [৩১৭১] আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যবেহ করার সময় যেন দ্রুত যবেহ করে। [উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ] ৪/৩১৭২ (১). আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [৩১৭২] তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

【4】

যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা

ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি “শয়তানেরা নিজেদের বন্ধুদের প্ররোচনা দেয়” (সূরা আনআমঃ২১) শীর্ষক আয়াত উল্লেখপূর্বক বলেন, শয়তানেরা বলে যে, যা আল্লাহর নাম নিয়ে যবেহ করা হয়েছে তা ভক্ষণ করো না এবং যা আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে যবেহ করা হয়েছে তা খাও। অতএব মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তার কিছুই আহার করো না” (সূরা আনআমঃ ১২১)। [৩১৭৩] উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ (রাঃ) একদল লোক বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কতক লোক আমাদের নিকট গোশ্‌ত নিয়ে আসে। জানি না, (তা যবেহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে কি না? তিনি বলেনঃ তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো এবং তা খাও। এটা ছিল তাদের কুফর পরিত্যাগের নিকটবর্তী কালের বিষয়। [৩১৭৪]

【5】

যে অস্ত্র দিয়ে যবেহ করা যায়

মুহাম্মাদ বিন সয়ফী (রাঃ) আমি ধারালো সাদা পাথর দিয়ে দু’টি খরগোশ যবেহ করে তা নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তিনি আমাকে তা আহারের নির্দেশ দিলেন। [৩১৭৫] যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) একটি নেকড়ে বাঘ একটি বকরীকে কামড় দিলে লোকেরা তা ধারালো সাদা পাথর দ্বারা যবেহ করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের তা খাওয়ার অনুমতি দেন। [৩১৭৬] আদী বিন হাতিম (রাঃ) তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা শিকার ধরে থাকি এবং কখনও আমাদের সাথে ধারালো পাথর বা ধারালো লাঠি ব্যতীত ছুরি থাকে না। তিনি বলেনঃ যা দিয়ে কারো রক্ত প্রবাহিত করো এবং যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম লও। [৩১৭৭] রাফি‘ বিন খাদীজ (রাঃ) আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকাকালে আমাদের সাথে ছুরি থাকে না। তিনি বলেনঃ দাঁত ও নখ ব্যতীত যা দিয়ে রক্ত প্রবাহিত করা যায় (তা দিয়ে যবেহ করো) এবং তা যবেহকালে আল্লাহর নাম স্মরণ করো, অতঃপর খাও। কারণ দাঁত হলো হাড় এবং নখ হলো হাবশাবাসীদের ছুরি। [৩১৭৮]

【6】

চামড়া ছাড়ানো

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক যুবকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তখন একটি বকরীর চামড়া ছাড়াচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ তুমি সরে দাঁড়াও, আমি তোমাকে দেখিয়ে দিবো। রাসূলুল্লাহ চামড়া ও গোশতের মাঝখান দিয়ে নিজের হাত ঢুকালেন, এমনকি বগল পর্যন্ত তাঁর হাত আন্তর্হিত হয়ে গেলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে বৎস! এভাবে চামড়া ছাড়াও। অতঃপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন এবং লোকেদের সাথে সলাত আদায় করলেন কিন্তু উযু করেননি। [৩১৭৯]

【7】

দুগ্ধবতী পশু যবেহ করা নিষেধ

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক আনসার ব্যক্তির নিকট এলেন। সে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য পশু যবেহ করতে ছুরি নিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ সাবধান! দুগ্ধবতী পশু যবেহ করো না। [৩৭৮০] আবূ বাক্‌র বিন আবূ কুহাফা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ও উমার (রাঃ) কে বলেনঃ তোমরা উভয়ে আমাদের সাথে আল-ওয়াকিফীর নিকট চলো। রাবী বলেন, আমরা চাঁদনি রাতে রওয়ানা হলাম এবং শেষে (আল-ওয়াকিফীর) বাগানে গিয়ে পৌঁছলাম। আল-ওয়াকিফী বলেন, সাদর সম্ভাষণ। অতঃপর তিনি একটি ছুরিসহ মেষ পালের মধ্যে চক্কর দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ সাবধান! দুগ্ধবতী পশু যবেহ করো না। [৩১৮১]

【8】

স্ত্রীলোকের যবেহকৃত পশুর বিধান

কা‘ব বিন মালিক (রাঃ) এক স্ত্রীলোক ধারালো পাথরের সাহায্যে একটি বকরী যবেহ করলো। তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জানানো হলে তিনি তা দূষণীয় মনে করেননি। [৩১৮২]

【9】

পলায়নপর পশু যবেহ করার বর্ণনা

রাফি‘ বিন খাদীজ (রাঃ) আমরা এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। একটি উট পলায়নে তৎপর হলে এক ব্যক্তি সেটিকে লক্ষ করে তীর নিক্ষেপ করলো। মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এই চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যেও কোনটি জংলী পশুর ন্যায় বন্য হয়ে যায়। অতএব তোমরা অন্যভাবে কাবু করতে না পারলে একে এভাবেই কাবু করবে। [৩১৮৩] মালিক বিন কাহতাম (রাঃ) তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কণ্ঠনালী ও বুকের উপরিভাগের মাঝখান ছাড়া কি যবেহ হয় না? তিনি বলেনঃ তুমি যদি তার উরুতে বর্শা ঢুকিয়ে দিতে পারো তবে তা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। [৩১৮৪]

【10】

কোন প্রাণীকে চাঁদমারির লক্ষ্যবস্তু বানানো বা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তন করা নিষেধ

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তন করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৫] আনাস বিন মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পশুকে চাঁদমারির লক্ষ্যবস্তু বানাতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৬] ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কোন জীবন্ত প্রাণীকে চাঁদমারির লক্ষ্যবস্তু বানিও না। [৩১৮৭] জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন প্রাণীকে চাঁদমারির লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৮]

【11】

বিষ্ঠা খাওয়ায় অভ্যস্ত (হালাল) পশু-পাখি খাওয়া নিষেধ

ইবনু উমার (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিষ্ঠা ভক্ষণে অভ্যস্ত পশুর গোশ্‌ত খেতে ও তার দুধ পান করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৯]

【12】

ঘোড়ার গোশ্‌ত

আসমা’ বিনতু আবূ বাক্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে একটি ঘোড়া যবেহ করে তার গোশ্‌ত খেয়েছি। [৩১৯০] জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) খায়বারের যুদ্ধকালে আমরা ঘোড়া ও বন্য গাধার গোশ্‌ত খেয়েছি। [৩১৯১]

【13】

বন্য গাধার গোশ্‌ত

আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) এর নিকট গৃহপালিত গাধার গোশত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেন, খায়বারের যুদ্ধকালে আমরা দুর্ভিক্ষে পতিত হই। আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। লোকেরা মদীনার (শহরের) বাইরে কিছু গাধা পেলো। আমরা তা যবেহ করলাম। আমাদের হাঁড়িতে গোশত টগবগ করে ফুটছিল। ইতোমধ্যে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘোষক ঘোষণা করলো যে, গোশতের পাতিলগুলোকে উল্টে ফেলে দাও এবং গাধার গোশত থেকে মোটেও খেও না। অতএব আমরা পাতিলগুলো উল্টে ফেলে দিলাম। আমি আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি তা চূড়ান্তভাবে হারাম করেছেন? রাবী বলেন, আপনি আমাদের জানিয়ে দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা কি বিষ্ঠা খাওয়ার কারণে হারাম করেছেন? [৩১৯২] আল-মিকদাম বিন মা‘দীকারিব আল-কিন্দী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতগুলো জিনিস হারাম ঘোষণা করেন, তার মধ্যে গৃহপালিত গাধার কথাও উল্লেখ করেন। [৩১৯৩] বারা’ বিন আযিব (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে গৃহপালিত গাধার কাঁচা গোশ্‌ত ও রান্না করা গোশ্‌ত সব ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তী কালে তিনি আর তা (খাওয়ার) হুকুম দেননি। [৩১৯৪] সালামা ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে খায়বারের যুদ্ধ করেছি। সন্ধ্যা হলে লোকেরা চুলায় আগুন ধরালো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কী রান্না করছো? তারা বলেন, গৃহপালিত গাধার গোশ্‌ত। তিনি বলেন, হাঁড়িতে যা আছে তা ফেলে দাও এবং হাঁড়িগুলো ভেঙ্গে ফেলো। দলের মধ্যকার এক ব্যক্তি বললো, হাঁড়ির মধ্যে যা আছে আমরা কি তা ফেলে দিয়ে হাঁড়ি ধুয়ে নিতে পারি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আচ্ছা! তাই করো। [৩১৯৫] আনাস মালিক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ঘোষক ঘোষণা করলেনঃ নিশ্চিতভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমাদেরকে গৃহপালিত গাধার গোশ্‌ত খেতে নিষেধ করেছেন। কারণ তা নাপাক। [৩১৯৬]

【14】

খচ্চরের গোশ্‌ত

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা ঘোড়ার গোশ্‌ত আহার করতাম। আমি (আতা) বললাম, খচ্চরের গোশ্‌ত? তিনি বলেন, না। [৩১৯৭] খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার গোশ্‌ত, খচ্চরের গোশ্‌ত ও গাধার গোশ্‌ত খেতে নিষেধ করেছেন। [৩১৯৮]

【15】

পেটের বাচ্চার জন্য তার মায়ের যবেহ-ই যথেষ্ট

আবূ সাঈদ (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গর্ভবতী পশুর পেটের বাচ্চা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেনঃ তোমরা ইচ্ছা করলে তা খেতে পারো। কেননা তার মায়ের যবেহ তার যবাহ–এর জন্য যথেষ্ট। [৩১৯৯]