26. আকীকা সম্পর্কিত

【1】

আকীকার বর্ণনা

বনী যামরার জনৈক ব্যক্তি তাঁর পিতা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন : আমি উকূক [১] পছন্দ করি না। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামটি পছন্দ করবেন না। তিনি আরো বলেছিলেন : কারো সন্তান হলে সে যদি কিছু কুরবানী করতে চায় তবে তা করতে পারে। (হাসান, আবূ দাঊদ ২৮৪২, নাসাঈ ৪২১২, আলবানী হাদীসটি হাসান বলেছেন [আস সিলসিলাহ সহীহা ১৬৫৫] তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত সনদে মুবহাম রাবী রয়েছে) জা’ফর ইবনু মুহাম্মাদ (র) রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তনয়া ফাতিমা (রা) হাসান, হুসাইন, যায়নাব ও উম্মে কুলসুম (রা)-এর মাথার চুল ওজন করে সেই পরিমাণ রৌপ্য দান করেছিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন) মুহাম্মাদ ইবনু আলী ইবনু হুসাইন (রা) রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তনয়া ফাতিমা (রা) হাসান ও হুসাইনের মাথার চুল ওজন করে তত পরিমাণ রৌপ্য দান করেছিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

【2】

আকীকার পদ্ধতি

নাফি’ (র) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা)-এর পরিবারের কারো জন্য আকীকার ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি তাঁকে সাহায্য করতেন এবং তাঁর নিজের সন্তানের ব্যাপারে ছেলে বা মেয়ে হোক, প্রত্যেক সন্তানের জন্য একটি করে বকরী আকীকা দিতেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন) মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম হারিস তায়মী (র) পিতার নিকট শুনেছি, আকীকা করা তাঁর খুবই প্রিয় ছিল, তা একটি পাখীও হোক না কেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন) মালিক (র) ‘আলী (রা) ইবনু আবূ তালিবের পুত্র হাসান ও হুসাইন (রা)-এর আকীকা করা হয়েছিল। (সহীহ, আবূ দাঊদ ২৮৪১, নাসাঈ ৪২১৯, আব্বাস (রা)-এর বরাত দিয়ে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [মিশকাত ৪১৫৫] ইমাম মালেকের নিকট হাদীসটি পৌঁছেছে মর্মে বর্ণনা করেছেন) উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (র) ছেলে হোক বা মেয়ে, প্রত্যেক সন্তানের জন্য একটি বকরী আকীকা করতেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন) মালিক (র) বলেন : আকীকার বিষয়ে আমাদের নিকট হুকুম হল, ছেলে হোক বা মেয়ে হোক প্রত্যেকের জন্য একটি বকরী আকীকা করা হবে। আকীকা করা ওয়াজিব নয়, মুস্তাহাব। তবে আকীকার বকরী কুরবানীর বকরীর অনুরূপ হতে হবে। চোখ কানা, অতিশয় বৃদ্ধ, শিং ভাঙ্গা এবং রোগা হলে চলবে না। আকীকার গোশ্ত এবং চামড়া বিক্রয় করা জায়েয নয়। এর হাড়গুলো ভেঙ্গে দেয়া উচিত। [২] আকীকার গোশ্ত নিজে খাবে এবং দরিদ্রদেরকেও খেতে দিবে। আকীকাকৃত বকরীর রক্ত বাচ্চাকে ছোঁয়াবে না। [৩]