14. মহান আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বীকার

【1】

মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব

আবূ হুরাইরা (রাঃ) যে রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মি‘রাজ ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে রাতে তাঁর নিকট মদ ও দুধের দু’খানা পাত্র আনা হল। তখন তিনি উভয়ের দিকে তাকিয়ে দেখে দুধের বাটি খানা তুলে নিলেন। এ দেখে জিবরাঈল (আঃ) বললেনঃ ‘সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আপনাকে প্রকৃতির দিকেই পথ দেখালেন। যদি আপনি মদের পাত্রটি ধারণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।’ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহর প্রশংসার সাথে আরম্ভ না করলে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আবূ মুসা আশআরী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যখন কোন বান্দার সন্তান মারা যায়, তখন মহান আল্লাহ স্বীয় ফিরিশতাদেরকে বলেন, ‘তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জীবন হনন করেছ কি?’ তাঁরা বলেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বলেন, ‘তোমরা তার হৃদয়ের ফলকে হনন করেছ?’ তাঁরা বলেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বলেন, ‘সে সময় আমার বান্দা কি বলেছে?’ তারা বলে, ‘সে আপনার হাম্‌দ (প্রশংসা) করেছে ও ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রা-জিঊন (অর্থাৎ, আমরা তোমার এবং তোমার কাছেই অবশ্যই ফিরে যাব) পাঠ করেছে।’ মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমার (সন্তানহারা) বান্দার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ কর, আর তার নাম রাখ, ‘বায়তুল হাম্‌দ’ (প্রশংসাভবন)।” আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে বান্দা কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে (অর্থাৎ, আল-হামদু লিল্লাহ পড়ে) ।”