26. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর তরকারীর বর্ণনা

【1】

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর তরকারী

আয়েশা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, সিরকা কতই না চমৎকার তরকারী। আব্দুল্লাহ ইবনে আবদূর রাহমান (রহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেন, সিরকা কতই না চমৎকার উদুম অথবা ইদাম তথা তরকারী। [১১৫] ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে সিরকার প্রশংসা করা উদ্দেশ্য। সিরকা উত্তম তরকারী হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন সহজে তৈরি করা যায়, এর সাহায্যার্থে অনায়াসে রুটি ভক্ষণ করা যায় এবং সবসময় পাওয়া যায়। এছাড়া সিরকার মাঝে কিছু উপকারিতাও রয়েছে। যেমন কফ ও পিত্ত দূর করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। সিমাক ইবনে হারব (রহঃ) তিনি বলেন, আমি নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, তোমরা কি পানাহারের ব্যাপারে যা ইচ্ছা তা গ্রহণ কর না? (অর্থাৎ নিশ্চয় গ্রহণ করছ)। অথচ আমি দেখেছি তোমাদের নবী তৃপ্তি সহকারে পেট ভরে সাধারণ খেজুরও খেতে পাননি। [১১৬] ব্যাখ্যাঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর ওফাতের পর সাহাবী ও তাবিয়ীগণ যখন প্রচুর খাদ্যের অধিকারী হন, তখন তাদেরকে সম্বোধন করে নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) একথা বলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর অনুসরণের প্রতি এবং দুনিয়ার উপকরণ সংক্ষিপ্ত রাখার প্রতি উৎসাহিত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। যাহদাম জারমী (রহঃ) তিনি বলেন, আমরা একবার আবু মুসা আশ'আরী (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তখন তার কাছে ভুনা মুরগীর গোশত আনা হলো। ফলে উপস্থিত লোকদের একজন চলে যেতে উদ্যত হলো। তিনি [আবু মুসা আশ'আরী (রাঃ)] তাঁকে যাওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল, আমি এক (মুরগীকে) নাপাক খেতে দেখে এ মর্মে কসম করেছি যে, আমি আর কখনো মুরগীর গোশত খাব না। তিনি বলল, কাছে এসো, ( এবং নির্দ্বিধায় খাও)। কারণ আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে আমি মুরগী খেতে দেখেছি। ১১৭ ব্যাখ্যাঃ উক্ত কথার দ্বারা আবু মুসা আশ'আরী (রাঃ) এটা বুঝাতে চেয়েছেন যে, কোন হালাল বস্তুকে হারাম করা অনুচিত। যাহদাম জারমী (রহঃ) তিনি বলেন, আমরা আবু মূসা (রাঃ) এর নিকট ছিলাম। তিনি বলেন, তার নিকট খাবার পরিবেশন করা হলো এবং সে খাবারে মুরগীর গোশত ছিল । সেখানে তায়ামুল্লাহ গোত্রের লাল বর্ণের এক ব্যাক্তি ছিল। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল , সে যেন একজন গোলাম। বর্ণনাকারী বলেন, সে লোকটি খেতে আসলো না। তখন আবু মুসা (রাঃ) তাঁকে বললেন, খেতে এসো – কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে আমি মুরগীঢ় গোশত খেতে দেখেছি । সে বলল, একে ময়লা কিছু খেতে দেখেছি। সে কারণে আমার ঘৃণা জন্মেছে। তাই আমি কসম করেছি যে, আমি এটা কখনো খাব না। আবু আসীদ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, তোমরা যায়তুন [১১৮] তৈল খাও এবং তা মালিশ করো। কারণ, তা বরকতময় বৃক্ষ হতে উৎপন্ন। [১১৯]

【2】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাউ পছন্দ করতেন

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাউ খুবই পছন্দ করতেন। একবার তাঁর সম্মুখে খানা পরিবেশন করা হলো অথবা তিনি কোন দাওয়াতে গিয়েছিলেন (রাবীর সন্দেহ)। আমার যেহেতু জানা ছিল যে, তিনি লাউ খুব পছন্দ করেন, তাই (তরকারীর মধ্য হতে) বেছে বেছে তাঁর সামনে লাউ পেশ করলাম।[১] জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, একবার আমি নবী এর কাছে গিয়ে দেখলাম যে, লাউ কেটে টুকরো টুকরো করা হচ্ছে। আমি বললাম, এর দ্বারা কী হবে? তিনি বললেন, এর দ্বারা আমরা আমাদের খানা বৃদ্ধি করব।[১] আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, একবার এক দর্জি খানা তৈরি করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দাওয়াত দেয়। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমিও ঐ দাওয়াতে গিয়েছিলাম। দর্জি লোকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে যবের রুটি ও ঝোল পরিবেশন করল। সে ঝোলের মধ্যে লাউ ও শুকনা গোশত ছিল। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তরকারীর বাটির বিভিন্ন দিক থেকে লাউয়ের টুকরো খোঁজ করতে দেখেছি। আর সে দিন হতে আমি লাউ খুব পছন্দ করে আসছি।[১]

【3】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্টি দ্রব্য ও মধু অধিক পছন্দ করতেন

আয়েশা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও মিষ্টি দ্রব্য ও মধু অধিক পছন্দ করতেন। [১২৩] ব্যাখ্যাঃ হালওয়া মিষ্ট বস্তু, মিষ্টি জাতীয় জিনিস, মিষ্টান্ন। সাধারণ মানুষ যেসব মিষ্টি খাবার তৈরি করে তাকেই মূলত হালওয়া বলে। আর মূল অর্থের দিকে লক্ষ্য করলে এর আওতায় মিষ্টি ফলমূলও পড়ে, তথাপিও প্রচলিত পরিভাষা হিসাবে এটা হালওয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়। ‘হালওয়া’ বলতে গুড়, চিনি, মধুকেও বুঝায় এবং এর দ্বারা প্রস্তুত মিষ্ট খাদ্যসমূহকেও বুঝিয়ে থাকে।

【4】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বকরীর পাঁজরের ভূনা গোশত পছন্দ করতেন

উম্মে সালামা (রাঃ) একদা তিনি বকরীর পাঁজরের ভূনা গোশত রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সামনে পরিবেশন করেন। তিনি তা হতে খেলেন এবং ওযু না করেই সালাতে দাড়িয়ে যান। [১২৪] ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, আগুনে তৈরি খাবার খেলেও ওযু ভঙ্গ হয় না। তবে অন্য হাদীস দ্বারা আগুনে পাক করা খাদ্য খেলে ওযু নষ্ট হয়ে যায় বলেও প্রমাণিত রয়েছে। কিছু সংখ্যক সাহাবী ও তাবিয়ীর মতামতও এটাই। তবে চার খলীফা এবং অধিকাংশ মুহাদিসগণের মতে আগুনে তৈরি খাবার খেলেও ওযু ভঙ্গ হয় না। তারা বলেন, যে সকল হাদীস থেকে ওযু ওয়াজিব হওয়ার কথা উল্লেখও হয়েছে, সেগুলো রহিত হয়ে গেছে। আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও এর সাথে মসজিদে ভূনা গোশত খেয়েছি। ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসের আলোকে বুঝা যায়, একা বা জামা'আতবদ্ধভাবে মসজিদে পানাহার করা বৈধ, তবে মসজিদের পবিত্রতা-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করতে হবে। মুগীরা ইবনে শু’বা (রাঃ) তিনি বলেন, আমি একবার রাতে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সাথে মেহমান হলাম। তখন (আমার সামনে) ছাগলের পাঁজরের ভুনা গোশত পরিবেশন করা হলো।তারপর তিনি ছুরি দ্বারা তা কাটলেন এবং আমাকে দিলেন। এমন সময় বিলাল (রাঃ) তাঁকে সালাতের আহ্বান জানালেন। তিনি ছুরিটি ছুঁড়ে ফেললেন এবং বললেন, তাঁর কী তাঁর উভয় হাত ধূলোয় ধূসরিত হোক। বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর গোঁফ লম্বা হয়ে গিয়েছিল। তাই তিনি তাঁকে বললেন, তোমার গোঁফ আমি মিসওয়াকের উপরে রেখে কেটে দেব। ব্যাখ্যাঃ তার দু'হাত ধূলিময় হোক। শাব্দিক বিবেচনার হিসেবে এটা বদদু’আ। অর্থাৎ- সে দরিদ্র ও নিঃস্ব হয়ে যাক। তবে এখানে বদদু'আ উদ্দেশ্য নয়। ধমক, তিরস্কার ও আক্ষেপমূলক বাক্য হিসেবে এ শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়; এখানে এটাই উদ্দেশ্য।

【5】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরুর গোশত পছন্দ করতেন

আবু হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও এর সামনে বকরীর সামনের উরু পরিবেশন করা হলো। তিনি তা খুবই পছন্দ করতেন। অতঃপর তিনি তা থেকে দাঁত দিয়ে কেটে খেলেন। [১২৬] ব্যাখ্যাঃ মানুষের ক্ষেত্রে কুনুই থেকে আঙ্গুলের আগা পর্যন্তকে যিরা বলে। গরু ও বকরীর ক্ষেত্রে বাহু বলতে রানকে বুঝায়। এখানে বাহু বলতে রান উদ্দেশ্য। আবু উবায়দ (রাঃ) তিনি বলেন, আমি একবার নবী (সঃ) এর জন্য এক ডেগ গোশত রান্না করলাম। তিনি বকরীর সামনের উরুর গোশত অধিক পছন্দ করতেন। তাই আমি তাঁকে সামনের একটি পা দিলাম। তারপর তিনি বললেন, আমাকে সামনের আরেকটি পা দাও। তখন আমি তাঁকে সামনের আরেকটি পা দিলাম। তারপর তিনি পুনরায় বললেন, আমাকে সামনের আরেকটি পা দাও। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! বকরীর সামনের পা কয়টি থাকে? তিনি বললেন, সে মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন! যদি তুমি চুপ থাকতে তাহলে আমি যতক্ষন সামনের পা চাইতাম, ততক্ষন তুমি দিতে পারতে। ১২৭

【6】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুকনা রুটি এবং সিরকা পছন্দ করতেন

উম্মু হানী (রাঃ) তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট খাবার কিছু আছে কি ? আমি বললাম, না। আমার নিকট শুকনো রুটি এবং সিরকা ছাড়া কোন কিছুই নেই। তিনি বললেন, নিয়ে এসো। তখন তিনি বলেন, যে ঘরে সিরকা আছে সে ঘর তরকারীশূন্য নয়।[১] আবু মূসা (রাঃ) তিনি বলেন, রমণীদের মধ্যে আয়েশা (রাঃ) মর্যাদা সেরূপ, যেরূপ মর্যাদা যাবতীয় খাদ্যের মধ্যে সারীদের।[১]

【7】

সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা কে ?

আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমণীকুলের মধ্যে আয়েশা (রাঃ) মধ্যমণী ও মর্যাদার অধিকারিনী, যেমন সারীদ যাবতীয় খাদ্যের মধ্যমণী।[১]

【8】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বকরীর কাঁধের গোশতও খেতেন

আবু হুরায়রা (রাঃ) তিনি একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পনির খাওয়ার শেষে ওযূ করতে দেখেছেন। তিনি এও দেখেছেন যে, তিনি একবার বকরীর কাঁধের গোশত আহার করলেন। অথচ ওযূ না করেই সালাত আদায় করলেন।[১]

【9】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর ও ছাতু দ্বারা ওলীমা করেছিলেন

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়্যা (রাঃ) এর বিয়েতে খেজুর ও ছাতু দ্বারা ওলীমা সম্পন্ন করেন।[১] জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বাড়িতে আসলেন। আমরা তাঁকে (আপ্যায়নের জন্য) একটি বকরী যবেহ করি। তারপর তিনি বললেন, মনে হচ্ছে তারা যেন জানে যে, আমি গোশত পছন্দ করি। এ হাদীসের সাথে দীর্ঘ ঘটনা সম্পৃক্ত রয়েছে। জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারী মহিলার ঘরে আসলেন। আমি তখন তাঁর সাথে ছিলাম। তখন ঐ মহিলাটি তাঁর জন্য একটি বকরী যবাই করলেন। তিনি তা হতে কিছু গোশত আহার করলেন। এরপর ঐ মহিলাটি তাঁর সামনে এক থোকা তাজা খেজুর পেশ করলেন। তিনি তা হতেও কিছু খেয়ে নিলেন। এরপর তিনি ওযু করে যোহরের সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি ঐ মহিলাটির নিকটে ফিরে আসলেন। মহিলাটি অবশিষ্ট গোশতের কিছু অংশ তাঁর সামনে পরিবেশন করলেন এবং তিনি তা খেলেন। এরপর ওযু না করেই আসরের সালাত আদায় করলেন।[১]

【10】

রাসূলুল্লাহ ও চর্বিযুক্ত খাবারও আহার করতেন

উম্মুল মুনযির (রাঃ) তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বাড়িতে আসলেন। তাঁর সঙ্গে আলী (রাঃ)ও ছিলেন। আমাদের ঘরে কয়েক ছড়া (কাঁদি) খেজুর ঝুলন্ত ছিল। তিনি বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ কাঁদিগুলো হতে খেজুর খেতে থাকলেন এবং তাঁর সঙ্গে আলী (রাঃ)ও খেতে থাকলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আলী! থাম তুমি খেজুর খেয়ো না। কারণ, তুমি সবে মাত্র রোগ মুক্ত হয়েছ। তিনি বললেন, এতে আলী (রাঃ) খাওয়া বন্ধ করলেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেতে থাকলেন। বর্ণনাকারী আরো বলেন, আমি তাঁদের জন্য চর্বি দিয়ে যব রান্না করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আলী। তুমি এ থেকে খাও। কারণ, তা তোমার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপযোগী।[১]

【11】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘হায়স’ নামক খাবারও খেতেন

উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে আমার কাছে এসে বলতেন, তোমার নিকট নাশতা করার কিছু আছে কি? আমি কখনো কখনো বলতাম, না, কোন খাবার নেই। তখন তিনি বলতেন, আমি রোযার নিয়ত করলাম। একবার তিনি আমাদের নিকট আসলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য কিছু হাদিয়া এসেছে। তিনি বললেন, তা কোন ধরণের খাবার? আমি বললাম, হাইস (খেজুরের তৈরি মিষ্টান্ন বিশেষ)। তিনি বললেন, আমি তো রোযাদার অবস্থায় সকাল কাটিয়েছি। আয়েশা (রাঃ) বললেন, এরপর তিনি খেয়ে নিলেন।[১]

【12】

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘সুফল’ পছন্দ করতেন

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘সুফল’ পছন্দ করতেন। আবদুল্লাহ [ইমাম তিরমিয়ী (রহঃ) এর উস্তাদ] বলেন, ‘সুফল’ হচ্ছে সে জিনিস, যা লোকেরা খাদ্য গ্রহণের পর হাড়ি-পাতিলের তলায় লেগে থাকে।[১]