15. আল্লাহর জন্য ভালবাসা

【1】

আল্লাহর জন্য ভালবাসা

আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোন ব্যক্তিকে ভালবাসেন, তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালবাস। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) তাকে ভালবাসতে থাকেন। তারপর আকাশবাসীকে বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালবাসেন। অতএব তোমরা তাকে ভালবাস। তখন আকাশের সকল ফেরেশতা তাকে ভালবাসতে থাকেন। অতঃপর সে ব্যক্তির জন্য যমীনেও জনপ্রিয়তা দান করা হয়। আর আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ঘৃণা করেন তখন জিবরাঈলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, তুমিও তাকে ঘৃণা কর। তখন জিবরাঈলও তাকে ঘৃণা করেন। এরপর আকাশবাসীকে বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন, তোমরাও তাকে ঘৃণা কর। তখন আকাশবাসীরা তাকে ঘৃণা করতে থাকে। অতঃপর তার জন্য যমীনেও মানুষের মনে ঘৃণা সৃষ্টি করা হয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫০০৫)। আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, যারা আমার মর্যাদার খাতিরে পরস্পরে ভালবাসা স্থাপন করেছে, তারা কোথায়? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় স্থান দিব। আজ এমন দিন, আমার ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নেই’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫০০৬)। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ভাল এবং মন্দ লোকের সাথে বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত যথাক্রমে আতর বিক্রেতা ও কামারের হাঁপরে ফুঁক দানকারীর মত। আতর বিক্রেতা হয়তো তোমাকে এমনিতেই কিছু আতর দিতে পারে অথবা তুমি তার নিকট থেকে কিছু কিনে নিতে পার, অন্যথা তুমি তার সুঘ্রাণ পাবেই। আর কামারের হাঁপরের ফুলকি তোমার জামা-কাপড় জ্বালিয়ে দিতে পারে। এটা না হলেও তুমি তার ধোঁয়ার গন্ধ পাবেই’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫০১০)। মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, যারা আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে পরস্পরকে ভালবাসে, আমার উদ্দেশে সমাবেশে মিলিত হয়, আমার উদ্দেশে পরস্পরে সাক্ষাৎ করে এবং আমার উদ্দেশ্যেই নিজেদের মাল-সম্পদ ব্যয় করে, আমার ভালবাসা তাদের জন্য অবধারিত’ (মালেক, মিশকাত হা/৫০১১)। মিকদাদ ইবনু মা‘দীকারাব (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন (মুসলমান) ভাইকে মহব্বত করে, তখন তাকে যেন জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে মহব্বত করে’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫০১৬)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, ‘ঈমানদার ব্যতীত কাউকেও সাথী হিসাবে গ্রহণ কর না। আর পরহেযগার ব্যতীত অন্য কেউ যেন তোমার খাদ্য না খায়’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫০১৮)।